সৈয়দ জহুরুল ইসলাম সত্যিকার ভাবে ব্রিটিশ কারি ব্যবসার একজন মাষ্টার শেফ। সমগ্র নর্থ ইষ্ট ইংল্যান্ডে তার খাবারের বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে তার ব্যবসার মূল কেন্দ্র হলো বিখ্যাত ইউনির্ভাসিটি শহর ডারহ্যাম। ডারহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটেনের একটি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণে শুধু যুক্তরাজ্যই নয় সারা বিশ্ব থেকে স্টুডেন্টরা আসেন। জহরুল জোক করে বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে আমাদের ক্রিসমাস হলো সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস। এই দুই মাস প্যারেন্টরা তাদের ছেলেমেয়েদের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করাতে ডারহ্যাম আসেন। আর সেখানে আসলে এওয়ার্ড বিজয়ি রেষ্টুরেন্ট দ্যা ক্যাপিটাল ভিজিট করতে ভুলেন না।
১৯৭৭ সালে মা বাবার সাথে যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকেই সৈয়দ জহরুল রেষ্টুরেন্টে কাজ করছেন। স্কুল জীবনেই তার রেষ্টুরেন্টে কাজের হাতে খড়ি। উত্তর ইংল্যান্ডে বসবাসরত সৈয়দ জহরুল ইসলাম নর্থ ইংল্যান্ডের কয়েকটি বিখ্যাত রেষ্টুরেন্টে কাজ করেন এবং পরবতীর্তে নিজেই রেষ্টুরেন্ট খোলেন। প্রায় ৪৩ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই ব্যবসায়ী শেফের রান্নাই জীবন। জহরুলের ট্রাডিশনাল ব্রিটিশ কারি অথবা মাছ রান্না যারা খেয়েছেন তারা সবসময়ই প্রশংসায় পাঁচমুখ থাকেন।
সৈয়দ জহরুল ইসলামের আরেকটি প্রশংসিত দিক হচ্ছে বিয়ের খাবার পাকানো। যেমন পোলাও ও কারি রান্নায় জহরুল সিদ্ধ হস্ত। দুই যোগ পূর্বে যেমন এখনকার মতো বড় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী বা ক্যাটারার্স এর সংখ্যা ছিল কম তখন অনেকেই জহরুলকে অনুরোধ করে নিয়ে যেতেন তাদের বিয়ের রান্নাটি করে দেয়ার।
অত্যন্ত সাদা মনের মানুষ সৈয়দ জহরুল ইসলাম কারি লাইফ গ্রুপের সাথে নানা ইভেন্টে যোগদানকারী একজন স্টার শেফ। একজন সফল শেফ হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় পাঁচ তারকা হোটেলের খুবই নামিদামী শেফদের সাথে তার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। শেফ ক্লাবের শীর্ষ টীম মেম্বারদের একজন মজাদার রান্নার জন্য অনেক পুরস্কারে তিনি ভূষিত। কিন্তু তার নজর নেই সেই সব পদকের দিকে, তার খাবারের ইতিবাচক মন্তব্যই তার জন্য যথেষ্ট।
তার পেশার সূত্রে তিনি বাংলাদেশ, ভারত, স্পেন, ইতালী, স্লোভেনিয়াসহ বহুদেশে তার ভ্রমনের এবং কাজের সুযোগ হয়েছে।