খ্যাতির শিখরে শেফ কাজি শাহেদ হাসান

 

বাংলাদেশের খুব কম শেফ এরকম উচ্চতায় পৌছাতে পেরেছেন। তার নাম কাজি শাহেদ হাসান।ঢাকায় তার জন্ম। যে কোন একজন তরুণের জীবনে আঠারো বছর বয়স হলো একটা মাইলস্টোন। আমাদের বাংলা সাহিত্যের এক দুর্দান্ত কবি সুকান্ত ভট্রাচার্যের এই আটারো বছর বয়স নিয়ে আছে এক অপূর্ব কবিতা। যা পরলে এই বয়সে কেন একজন বাঙালি তরুণের মন ছটফট করে তা খুজে পাওয়া যায়। মাত্র কয়েকটি লাইন নিচে উল্লেখ করলাম।আঠারো বছর বয়স কী দু:সহস্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুকি আটারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দু:সাহসেরা দেয় যে ঊকি।আটারো বছর বয়সের নেই ভয় পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা এ বয়সে মাথা নোয়াবার নয় আটারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।
কাজি হাসানের জীবনেও আটারো বছর বয়সে এক বিরাট দু:সাহস দেয় উকি। তিন ভাইবোনের সংসারে বোন ডাক্তার, এক ভাই মেকানিক্যাল ইনজিনিয়ার। আটারো বছর বয়সে পড়ালেখার জন্য কাজি পাড়ি দেন অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। নতুন জীবন শুরু হয়। কাজি প্রথমে শুরু করেন আইটিতে পড়াশুনা, নিজের ইচ্ছায় নয়, বাবার ইচ্ছায়।
আইিটি নিয়ে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে রেষ্টুরেন্টে পার্ট টাইম কাজের সুযোগ হয়। সেটা ছিলো ইটালিয়ান রেষ্টুরেন্ট এবং তিনি রেষ্টুরেন্টের কাজের প্রেমে পড়ে যান। তাকে এই কাজ অনুপ্রেরণা দেয় এবং তিনি হসপিটালিটিতে পড়াশুনা করতে চাইলে তার বাবার কাছ থেকে আসে চরম আপত্তি। কিন্তু নাছোড় বান্দা কাজি ঠিকই হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টর ডিপ্লোমা পাশ করে তার ভালোবাসার পথেই যাত্রা শুরু করেন।
তারা সারা জীবনের ক্যারিয়ারে সুয়োগ হয়েছে বিভিন্ন দেশের বড় বড় হোটেলে এবং ফুড ইন্ডাষ্ট্রির যাদের বলা হয় গ্লোবাল আইকন, তাদের সাথে। কাজি এক আলাপ চারিতায় কারি শেফ ম্যাগাজিনকে বলেন এখন তারা বাবা তাকে নিয়ে সত্যিকার ভাবে গর্ববোধ করেন।
কাজি কেবল অষ্ট্রেলিয়া নয়, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা এবং মালেয়শিয়া সহ বড় বড় পাঁচ তারকা হোটেলের প্রধান শেফ হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি হিল্টন কোয়ালালামপুরের বিশাল হোটেলের এক্সিকিউটিভ শেফ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
খ্যাতির শিখরে একজন বাংলাদেশী শেফের সাফল্যের কথা আরো বিশাল আকারে আমরা ভবিষ্যতে তুলে ধরবো।

Share it in social media


আরও খবর