ব্রিটিশ কারির অভিজ্ঞ শেফ আবুল মনসুর

 

প্রথম কারিশেফ ম্যাগাজিনের ইস্যুর প্রচ্ছদে যার ছবি দেখছেন তার নাম শেফ আবুল মনসুর। দেশে বিদেশে ব্রিটিশ কারির প্রমোশনে কারি লাইফ ম্যাগাজিনের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্রিয়েটিভ শেফ আবুল। শেফ আবুল মনসুর ব্রিটিশ কারি ব্যাবসায় যার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রায় ৩৫ বছরের। গার্ডেন অব ইংল্যান্ড বলে পরিচিত কেন্টে তার বসবাস এবং ব্যবসার বিস্তার।
তাকে একজন ডেভেলাপমেন্ট শেফ ও বলা যায়। প্রতিনিয়ত তিনি নানা ধরনের নতুন নতুন ডিশ তার রেষ্টুরেন্ট তাজ কুজিন গ্রুপের জন্য তৈরী করে চলেছেন। শুধু নতুন খাবার তৈরী নয়, কি ভাবে প্রতিটি খাবারের উপস্থাপনা, স্বাদ ইত্যাদি এবং রন্ধণ প্রণালী নিয়ে তার টিমের সাথে প্রতিদিন তিনি আলোচনা করেন। ব্যস্ততার সীমা নেই। ব্যবসার যত প্রসার হয়েছে, তত তার কাজের পরিধি বেড়েছে। তিনি নিজে নিয়মিত রান্না করতে ভালোবাসেন।
তার কাষ্টমারদেরও অবস্থা এমন হয়েছে, তারা রেষ্টুরেন্টে টেবিল বুকিং এর আগে ফোন করে জেনে নেন ঐদিন আবুল মনসুর কাজে থাকবেন কিনা ছুটিতে থাকবেন। ওরা সে ভাবেই টেবিল বুকিং দিয়ে থাকেন। যদিও তার রেষ্টুরেন্টের অন্যান্য শেফরা আবুল মনসুরের মতো পারদর্শী তবু মানুষ অভ্যাসের দাস। আবুল মনসুরের নিজের হাতের রান্না খেতে তার কাষ্টমাররা অনেকটা তার উপর বিশেষ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
শেফ আবুল মনসুর কেবল কারি লাইফ শেফ ক্লাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন না, তিনি কারি লাইফ টিমের সাথে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সারা বিশ্বব্যাপী ব্রিটিশ কারি প্রমোট করে বেরিয়েছেন। সে সূত্রে কয়েকজন মিশেলিন স্টার শেফ ও ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্টার শেফদের সাথে কাজ করার সুুযোগ হয়েছে এই শেফের।
শেফ আবুল মনসুর তার কর্মজীবনই শুরু হয় রেষ্টুরেন্টের কাজের মধ্য দিয়ে এবং তাকে সবাই তার অন্য নাম জুয়েল বলেই চিনেন। ব্যবসা পরিচালনা, কুকিং, কিচেন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদিতে সত্যিকার ভাবে কারি ইন্ডাষ্ট্রির একজন জুয়েল তিনি।

Share it in social media


আরও খবর