আগামী ১৫ নভেম্বর রোববার লন্ডনের অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল ল্যাংকাস্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১১তম কারি লাইফ এওয়ার্ড। ব্রিটিশ কারি ইন্ডাষ্ট্রির জাকঁজমকপূর্ণ এই এওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজনের পিছনে রয়েছে যুক্তরাজ্যের একমাত্র জনপ্রিয় কারি হাউস ম্যাগাজিন কারি লাইফ। অনুষ্ঠানের প্রধান স্পন্সর হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অনলাইন ফুড অর্ডারিং কোম্পানী জাস্ট ইস্ট। প্রতিবছরের মতো এবারের অনুষ্ঠানেও দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আসা শীর্ষস্থানীয় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, শেফ ও কারি ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সাপ্লায়ার, সিলেব্রিটি ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন। বরাবরের মতো বিভিন্ন ক্যাটাগরি যেমন বেষ্ট রেষ্টুরেন্ট, বেষ্ট শেফ, বেষ্ট কাস্টমার চয়েস ও বেষ্ট টেকওয়ে ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে এওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এওয়ার্ড কত্র্ৃপক্ষ জানান, বর্তমানে রেষ্টুরেন্ট ও টেকওয়ে পুরোপুরি খুলে যাওয়ায় নতুন করে প্রচুর নমিনেশন আসছে। তবে লকডাউন চলাকালে প্রায় প্রতিটি রেষ্টুরেন্টই টেকওয়ের জন্য খোলা ছিল। আর টেকওয়েগুলোও ভাল ব্যবসা করেছে। ইন্ডাষ্ট্রির ‘কারি হিরো’রা এন্এইচএস কর্মী এবং হাসপাতালে বিনামূল্যে খবার বিতরণ সহ তাদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট অব্যাহত রাখেন। তাদের এই উদ্যোগ সর্বত্রই প্রশংসিত হয়েছে। লক ডাউনের সময় কারি লাইফ ম্যাগাজিনের প্রকাশনাও অব্যাহত ছিল। এওয়ার্ড কর্ত্তৃপক্ষ জানান, সেসময় পাওয়া অনেক নমিনেশনের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া তারা এখন শুরু করেছেন। ৪ জুলাই থেকে কারি হাউসগুলো কাস্টমারদের জন্য খুলে দেয়ায় প্রতিনিয়তই এওয়ার্ড সম্পর্কিত অনুসন্ধান ও নমিনেশন আরও বেশি করে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সোশ্যাল মিডিয়া, লোকাল মিডিয়া সহ বিভিন্নভাবে তাদের ব্যবসা প্রমোটের দিকে নজর দিচ্ছেন, তারা এর প্রয়োজনীয়তা এখন ভীষণভাবে অনুধাবন করছেন। কারি লাইফ মিডিয়া টীমও এ ব্যাপারে রেষ্টুরেন্টগুলোকে সহায়তার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কারি লাইফ এওয়ার্ড ২০২০ অনুষ্ঠানের সাথে এবারও সাপ্লায়ারদের জন্য অনুষ্ঠিত হবে ট্রেড শো ওয়ার্ল্ড কারি এক্সপো। রয়েল ল্যাংকাস্টার হোটেলের ওয়েস্টবার্ণ সুটে থাকবে সাপ্লায়ারদের জন্য ৩০টি স্টল। এতে তারা নানা অফার নিয়ে আসবেন ক্যাটারার্সদের জন্য। ওয়ার্ল্ড কারি এক্সপোতে এবার বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি কোম্পানী আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই এক্সপোতে জনসাধারণের জন্য ফ্রি প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে।
এওয়ার্ড অনুষ্ঠান হবে ল্যাংকাস্টার হোটেলের নাইন কিংস সুটে বিকাল ৫টা থেকে। এজন্যে আগে থেকেই আগ্রহীদের টেবিল অথবা আলাদা সিট বুক করতে হবে।
কারি লাইফ এওয়ার্ড প্রাপ্ত ইন্ডিয়ান ওশেন রেষ্টুরেন্টের স্বত্ত¦াধিকারী রুহেল হক বলেন, ‘‘ত্রিশ বছরের পুরানো রেষ্টুরেন্ট আমাদের। আমরা শুধু মডার্ণ টেকনোলোজির সাথে খাপ খাওয়ানো নয়, উচ্চতর হাইজিন রেটিং বহাল রাখা, উন্নত ফুড প্রেজেন্টেশন, মজাদার খাবার ও এর সাথে অব্যাহত ভাবে মেন্যুতে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি কারণে এওয়ার্ড পেয়েছি। এতে শুধু আমাদের কাস্টমারগণ খুশি হয়নি, আমরাও, কারণ আমাদের ব্যবসার বেড়েছে অনেক।”
‘‘এওয়ার্ড প্রাপ্তি রেষ্টুরেন্টের প্রোফাইল বৃদ্ধি করে, লাইম লাইটে নিয়ে আসে, কাস্টমারগণ এপ্রিশিয়েট করে আর সর্বোপরি ব্যবসা বৃদ্ধি করে। তবে এজন্যে আপনার ব্যবসার কিছু বৈশিষ্ট থাকতে হবে। কোয়ালিটি ফুড, কোয়ালিটি ফুড এবং কোয়ালিটি ফুড। রেষ্টুরেন্ট ও টেকওয়েতে মানুষ ভাল খাবারের জন্যেই যায়। সুতরাং আপনার খাবার ভাল হতে হবে, হাইজিন রেটিং শীর্ষে থাকতে হবে, কাস্টমার রিভিউগুলো পজিটিভ হতে হবে। আমরা সৌভাগ্যবান আমাদের সবগুলোই রয়েছে,” বলেন কারি লাইফ এওয়ার্ড প্রাপ্ত মহান রেষ্টুরেন্ট এর মালিক আসকর আলী। মহান রেষ্টুরেন্ট ওয়েস্ট সাসেক্স এর ওয়ার্দিং শহরে গত ৩৮ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছে।
কারি লাইফ এওয়ার্ডের পরিচালক ও কারি লাইফ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, বিগত এক দশকে কারি লাইফ এওয়ার্ড কর্ত্তৃপক্ষ সারা দেশের শত শত রেষ্টুরেন্ট, টেকওয়ে ও শেফ যারা এই ইন্ডাষ্ট্রিতে খাবার ও সার্ভিসকে এক ভিন্ন ধরণের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাদেরকে সম্মাননা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে অনেক মিশেলিন স্টার থেকে নিয়ে নামীদামি ইন্ডিয়ান খাবারের রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি আমাদের ইন্ডাষ্ট্রির আসল হিরোরা হচ্ছেন সে সব শেফ ও কারি হাউস যাদের খাবার মজাদার, সেবা ফ্রেন্ডলি, রেষ্টুরেন্ট ছিমছাম, স্থানীয় কাস্টমারদের কাছে জনপ্রিয় ও লোকাল ইকোনোমিতে অবদান রাখছেন তারা। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও এই অবদানের জন্যেই ব্রিটেনে কারি এখন জাতীয় খাবার। কারি লাইফ এওয়ার্ড সবসময়েই এসব প্রতিষ্ঠান ও শেফদের স্বীকতি দানে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটবেনা। সুতরাং যাদের খাবার মজাদার, হাইজিন স্ট্যান্ডার্ড উচ্চতায়, রেষ্টুরেন্ট ছিমছাম, সেবার মান উন্নত এবং স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় তাদের কাছ থেকেই আমরা নমিনেশন আহবান করছি।
আগ্রহীরা এই ম্যাগাজিনের ১৩ পাতার বিজ্ঞাপনের কূপন পূরণ করে হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারেন। কারি লাইফ এওয়ার্ড সম্পর্কে আরও জানতে হলে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে ০৭৯৫৬ ৫৮৮ ৭৭৭