ব্রিটেন বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট এর জন্য যারা নানা পণ্য সরবরাহ করেন বা করতে আথহী তাদের জন্য কারি লাইফ ম্যাগাজিন-এর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হচ্ছে বিশাল ট্রেড শো বা বাণিজ্য মেলা যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এই ট্রেড শো বা ওয়ার্ড কারি এক্সপো তে ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগম হবে। গত দুইবছর ধরে কারি লাইফ লন্ডনে এই মেলার আয়োজন করে চলেছে। এই মেলার আয়োজক কারি লাইফ সম্পাদক সৈয়দ বেলাল আহমদ বলেন,এই ট্রেড শো চালানোর পিছনে অনেক চিন্তা ভাবনা কাজ করেছে.আপনারা নিশ্চই জানেন কারি কুজিনটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সারা বিশ্বব্যাপী এর বিস্তার। কারি শুধু বাংলাদেশের বা ভারতীয় খাবার নয়। এই কারি ব্যবসায় যেসব উপাদান ও প্য ব্যবহার করা হয়, তা অনেক দেশের খাবারের সাথে মিল আছে। যেমন ধরুন রাইস, স্পাইস, তেল, আচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সস আর বেলিশ। তাছাড়া প্রতিটি রেষটররেন্টের জন্য যেসব জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয় তাও এই ট্রেড শোতে স্থান পাবে বলে আমরা আশা করছি। এ কারণে আমরা এই মেলাকে আমরা ওয়ার্ড কারি এক্সপো বলছি।
বেলাল আহমেদ আরো বলেন, ব্রিটেনের এই বিশাল কারি ব্যবসা যাকে আমরা কারি ইন্ডাষ্ট্রি বলি এর মূল চালকের আসনে হলেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা, কিন্তু এই ইন্ডাষ্ট্রিতে বাংলাদেশী পণ্য বিক্রেতাদের অনুপস্থিতি আমাদের হতাশ করে। এই বাজারে বাংলাদেশি মালামালের অপার সম্ভাবনা না থাকলেও টার্গেটেড ভাবে মার্কেটিং করা হয়না। এই ট্রেডশোতে বাংলাদেশি কোম্পানীর অংশগ্রহণ দেখছিনা আমরা গত দুবছর ধরে। এতে ভারত, শ্রীলংকা এমন কি চীন থেকে বিভিন্ন কোম্পানী অংশ নিয়েও লাভবান হয়েছেন এবং তারা তাদের পণ্যের উপস্থিতি আমাদের বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টগুলোতে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
কারি লাইফ মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার সাপ্লাই চেইনটা সাধারণত অবাঙালিদের দখলে। অথচ কেবল কৌশলগত অবস্থান নিলে বাংলাদেশের চাল-ডাল, মশলাপাতি, তৈজসপত্র, সিরামিক, হস্তশিল্প কোম্পানীগুলো মূলধারার বাজার ধরতে পারে। যাও মালামাল আসে তা শুধু বিলেতের ৬/৭ লাখ বাঙালির মধ্যে বাজার ধরার জন্য। ১২ হাজার বাংলাদেশি ও ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টের সাপ্লাই নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারলে বছরে কোটি কনজিউমারের একটা অংশ দখল করতে পারে বাংলাদেশি পণ্য। উন্নতমানের পণ্য এবং সঠিক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি চাই এজন্যে। আমাদের প্রত্যেক প্রবাসী বংলাদেশীদের মধ্যে প্রচন্ড দেশপ্রেম আছে, তারা সুযোগ পেলে এবং মান সম্মত পণ্য পেলে অবশ্যই তাদের ব্যবসায় এসব পণ্যকে সাদরে গ্রহণ করবেন।
নাহাস পাশা আরো বলেন, সবকিছুই নির্ভর করে বাংলাদেশের রপ্তানীযোগ্য কোম্পানীগুলো কি চায়, তার উপর। তারা যদি মনে করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ছোট ছোট দোকানে এক প্যাকেট চানাচুর আর এক প্যাকেট টোষ্ট বিস্কুট করার নামই রপ্তানী, তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই। এর বাইরে কিন্তু মূল ধারায় রপ্তানী করার বিশাল সুযোগ ও জগত আছে। বাংলাদেশতো ডিজিটাল টেকনোলজিতেও অনেক এগিয়ে গেছে, এখানে প্রতিটি ব্যবসা আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর অথচ ভারত, এমন কি রাশিয়ান কোম্পনীগুলো এসব বাজার দখল করছে।
কারি লাইফের ওয়ার্ল্ড কারি এক্সপোতে নিয়মিত যোগদানকারী একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের মালিক জনাব এমদাদুল হক বলেন, আমি প্রতিবছর এই কারি এক্সপোতে অংশগ্রহণ করি। এই অংশ নেয়ার ফলে আমার পুরাতন এবং অনেক নতুন ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ হয়। তাদের চাহিদা মতো টেকনোলজি প্রোডাক্টই আমি সাপ্লাই দেইনা, যেহেতু টেকনোলজি খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়, আমি ক্রেতাদের কাছ থেকে তাদের নিত্য নতুন চাহিদা সম্পর্কেও জানতে পারি।
ওয়ার্ল্ড কারি এক্সপো বা কারি ব্যবসার এই দিনব্যাপী বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট ট্রেডশো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ নভেম্বর রোববার লন্ডনের একটি অভিজাত ফাইভ স্টার হোটেলে। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন: +৪৪ ৭৭৭৫ ৮২৭৭৬৩