রেষ্টুরেন্ট খুলেছে আতংক কাটেনি

 

কারি শেফ প্রতিবেদন
লকডাউনে প্রায় সাড়ে় তিনমাস বন্ধ থাকার পর
গত ৪ জুলাই ইংল্যান্ডে রেস্টুরেন্ট, পাব, ক্যাফে ইত্যাদি খুলে দেয়া হয়ে়ছে। খোলার ৩দিনের মাথায় কয়েকটি পাবে কাস্টমারের ভাইরাস ধরা পড়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়। পাবে ভিজিট করার পরে একজন কাস্টমার জানতে পারেন তার টেষ্ট রিজাল্টে পজিটিভ এসেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, একটি ইন্ডিয়ান টেকওয়ের ড্রাইভারও এ ধরণের একটি পাবে ভিজিট করায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে টেকওয়ে কর্ত্তৃপক্ষ কয়েকদিনের জন্য ডিপ ক্লিনিংয়ের জন্য তা বন্ধ রাখেন।
এদিকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুড ব্যবসা ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টগুলোর অধিকাংশই ৪ জুলাই থেকে খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে অনেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য আরও কয়েকদিন রেষ্টুরেন্টের ভিতরে কাস্টমারদের খাবার পরিবেশন স্থগিত রেখে শুধুমাত্র টেকওয়ে় বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন। রেস্টুরেন্ট খুলবেন, না অপেক্ষা করবেন এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বিধা থাকলেও করোনা ভাইরাসের আতংক কাটেনি তাদের। কারি শেফ ম্যাগাজিনের সাথে কথা বলেন দেশের বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ইন্ডিয়ানসহ সকল ধরণের খাবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্য ধরণের ‘এক স্বাভাবিক অবস্থা’ মেনে চলতে হবে সবাইকে। এক অনিশ্চিত পথে যাত্রা সবার। পরিস্থিতি অতীতের মতো স্বাভাবিক কবে হবে কেউ জানেনা। বিগত প্রায় চারমাস বিভিন্ন স্কীমের মাধ্যমে সরকারের সাহায্য, টেকওয়ে় পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসা চালু রাখা, এমন করে মোটামুটি ভালই কাটিয়ে়ছেন ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট সেক্টরের অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় সরকারের সহযোগীতাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন তারা।বিজনেস রেইট, অনুদান এবং কম ইন্টারেষ্টে দেয়া বাউন্স ব্যাক লোন পেয়েছে কম বেশ সকল রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ে। এটি তাদের ব্যবসায় সাহায্য করেছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। কিন্তু নতুন নিয়মে রেস্টুরেন্ট খোলা, সিট সংখ্যা কমিয়ে় ব্যবসা করা, জিনিসপত্রের চড়া মূল্য, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বাড়তি ব্যয় ইত্যাদি সব কিছু বিবেচনা করে ব্যবসা চালু রাখার আর্থিক লাভ ক্ষতির হিসেব মিলাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ভেবে পাচ্ছেন না এর সমাধান কোথায়। এদিকে রেস্টুরেন্ট খোলা হলেও কাস্টমারদের মধ্যে ভাইরাস নিয়ে এখনো ভীতি বিরাজ করছে। ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা বাস্তবে বুঝা যাবে ৪ জুলাই থেকে অন্তত তিন সপ্তাহ পরে। সরকারের ট্র্যাক এ্যান্ড ট্রেইস নিয়ম মেনে চলার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাস্টমারের নাম ঠিকানা রাখছে। এতে কেউ কেউ আবার ঝামেলারও সম্মুখীন হচ্ছেন, অনেক কাস্টমারই ব্যক্তিগত তথ্যাদি দিতে চান না। সবকিছুর পরেও ব্যবসায়ীরা রেষ্টুরেন্ট খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং অন্তত পক্ষে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত যে কোনভাবেই ব্যবসাগুলোকে বাচিয়ে় রাখার জন্য সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দেয়া মন্তব্যের উপরেই কারি শেফ ম্যাগাজিনের এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

Share it in social media


আরও খবর